হ্যালো ব্লগার, আজকে তোমাদের সাথে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে কথা বলবো সেটা হল,
ছাত্র জীবনে অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পড়াশুনা। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যে আমাদের স্কুল
থেকে কলেজ লাইফ সব জায়গায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হয়। সেটা পড়ার বই বা অন্য কোনো মোটিভেশনাল বা,
জেনারেল আওয়ার্নেস বুক। তবে আনন্দ বা মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার জন্য আমরা যে সব বই পড়ি সে গুলোর কথা,
বাদ দিলাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা পড়াশুনার বই এর প্রতি অনাগ্রহ জন্মাতে দেখেছি। এই জন্য আমরা হয়তো স্কুল
কামাই করেছি কিম্বা পড়াশুনা না করার জন্য বাবা মায়ের কাছে বকা খেয়েছি। ছাত্রদের দের স্কুল ছুটের পিছনে প্রধান কারণ
হিসেবে বিশেষজ্ঞ রা বেশ কিছু বিষয় সামনে তুলে এনেছেন চলো দেখেনি আমাদের পড়াশুনা প্রতি আগ্রহ না থাকার কারন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Student_engagement
Treet top পাঠ্যপুস্তক : স্কুল এর পড়াশুনা অর্থহীন মনে হয় অনেক ছাত্রের কাছে। হোমওয়ার্ক এ যে কাজ গুলো
করতে দেওয়া হয় সে গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব বোরিং। আমাদের প্রতিদিন এর জীবন এ এর কোনো মিল থাকে না।
বাস্তব জগতের সাথে এর কোনো বিশেষ মিল থাকে না। অথচ এইসব প্রজেক্ট করে আমরা আমাদের কত মূল্যবান
সময় নষ্ট করি, তাই আমাদের উচিত বিরক্তিকর এসব কাজ বন্ধ করে জলবায়ুর পরিবর্তন ও স্থানীয় সমস্যাগুলোর উপর
জোর দিয়ে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করা।কারন এই ধরনের সমস্যা আমাদেরকে উন্নত বিশ্বথেকে পিছিয়ে রাখছে।
Passion power
ছাত্ররা যদি গান গাইতে, গিটার বাজাতে, গল্প লিখতে, নিত্যনতুন জিনিস তৈরি করতে, কোডিং করতে ভালবেসো
তাহলে সেইগুলো করতে তাদের উৎসাহিত করা। বরং তার পরিবর্তে আমাদের দেশের অধিকাংশ ছাত্রদের জোর করে
পাঠ্যপুস্তক এর উপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়। এতে ছাত্রদের আসলেই ক্রিয়েটিভ দিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Test terror (পরীক্ষা ভীতি)
একই ধরনের পরীক্ষা সব ছাত্র-ছাত্রীর উপর একটা মানসিক চাপ তৈরি করে। তাই বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে ভয় ,
পায়। পরীক্ষার আগে অনেকে নিজের নার্ভাস হয়ে যায়। তাই শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত ছাত্ররা যেটা জানে সেটাকে
নানারকম প্রেজেন্টেশন বা প্রজেক্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরতে সাহায্য করা।
Class room environment (ক্লাস রুম এর অবস্থা)
ক্লাসরুম এর খারাপ অবস্থা অনেক সময় অনেক ছাত্র কে স্কুলে বিমুখ করে। হতে পারে সেটা কোনো শিক্ষক এর জন্য হতে ,
পারে সেটা কোনো খারাপ বাজে ছাত্রের জন্য তাই স্কুল এর ক্লাসরুম এর পরিবেশ কে ফ্রেন্ডলি রাখা , সুন্দর রাখা খুব গুরুত্বপূর্ন।
Home environment (বাড়ির পরিবেশ)
বাড়ির পরিবেশ ভালো হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারন বাড়িতে মা বাবার মধ্যে অশান্তি, অন্যান্য ঝামেলা থাকলে তা ছাত্র ছাত্রীর
মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, অনেক সময় এই কারণে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কামাই করে।
তাই শিক্ষক, শিক্ষিকার উচিৎ কোনো ছাত্র ছাত্রীর যদি অযথা কারণে স্কুল কামাই করে তাহলে তারদিকে বিশেষ নজর দেওয়া।
শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না কেন?
শেখার পদ্ধতি (learning method)
প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর শেখার পদ্ধতি কিন্তু এক রকম হয়না। কেউ খুব তারাতারি শেখে কেউ আবার দেরি করে শেখে।
বিশেষ করে যে সব ছাত্র ছাত্রীরা ডিসলেকসিয়া তে আক্রান্ত তাঁদের শিকতে অনেক দেরি হয়। তাই তারা যাতে অন্য
ছাত্র দের থেকে পিছিয়ে না যায়, বা অন্য ছাত্রদের থেকে নিজেদের আলাদা না ভাবে সেই দিকে নজর দেওয়া।
মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখা:
অনেক স্কুল তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নানারকমের হোমওয়ার্ক দিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে রাখে এমন কি পরীক্ষার ভীতী
ছাত্রদের মধ্যে মানুষের চাপ তৈরি করে। তাই স্কুলের শিক্ষক আর স্কুলের কর্তৃপক্ষের উচিত স্কুলের হোমওয়ার্ক এবং
ছাত্রদের খেলাধুলা ও বিশ্রাম রাখার মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রেখে চলা। যেটা ছাত্রদের জন্য সবথেকে ভালো।