স্কুল জীবন হোক কিংবা কলেজ জীবন, পেড়িয়ে চাকরি জীবন, কোথাও না কোথাও আমরা জীবনে অপমান এর শিকার হয়েছি।
হতে পারে সেটা স্কুল এ কোনো শিক্ষক এর কাছে,কলেজ এ কোনো প্রফেসর এর কাছে কিংবা চাকরি করতে গিয়ে। অনেক সময় এই,
অপমান জিনিস টা আমাদের গায়ে লাগলেও তুমি আমি সেটা শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে চেপে যাই বা চুপ করে যাই।
আর তাই সাথে সাথে অপমানের জবাব টা আমরা মুখের উপর দিতে পারিনা, কিন্তু ভিতরে একটা রাগ আমাদের সবার থেকে যায়।
কেউ অপমান করলে তাকে উত্তর দেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কি?
তোমার প্রথম কাজটা হলো তুমি তোমার মাথা থেকে অতিরিক্ত চিন্তা ঝেড়ে ফেলো। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো । নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ ,
করতে পারলে তুমি খুব সহজেই অস্বস্তিকর পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখো।
https://selfknowledgepro.com/wp-admin/post.php?post=2316&action=edit
পরিস্থিতি বিবেচনা কর :
তোমাকে নীতিবাচক কথা বা অপমান জনক কথা যে কেউ বলতে পারে। আগে থেকে তোমার প্রতিক্রিয়া না দিয়ে সেটাকে ভালো করে,
বিবেচনা করো। হতে পারে ভুল হয়তো তোমারই ছিল।তাই কিছু বলার আগে বিবেচনা করো।https://inews.zoombangla.com/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4/
মাথা ঠাণ্ডা রাখো
মাথা ঠাণ্ডা রাখা একটা খুব কঠিন কাজ। আর এই কঠিন কাজ টা তুমি যদি করে ফেলতে পারো তাহলে তুমি জীবনের অনেক যুদ্ধেই জিতে যাবে ।
তোমাকে তোমার সামনের মানুষটা যদি নীতিবাচক বা খারাপ কোনো কথা বলে তাহলে তোমার ভিতরে রাগ তৈরি হতে পারে,সেটা কখন,
তাকে বুজতে দেওয়া যাবে না।তার নীতিবাচক খারাপ মন্তব্যে যদি তোমার মন ভেঙে যায় এবং তুমি যদি ভিতর থেকে ভেঙেও পর ,
সেটাও সেই মানুষটাকে,কোনভাবে বুঝতে দেয়া যাবে না তাহলে সে তোমাকে দুর্বল ভাববে এবং ভবিষ্যতে তোমাকে
আবার একইভাবে আক্রমণ করতে পারে।তাই তোমার প্রতিক্রিয়া যাওয়ার আগে বা মত পোষণ করার আগে কিছুটা সময় নাও,
বুক ভরে একটা নিশ্বাস না দেখবে তুমি অনেকটা হালকা ফিল করবে।
কেউ খারাপ ব্যবহার করলে কি করা উচিত?
গুছিয়ে সঠিকভাবে জবাব দিন
আপনার সামনের মানুষটি যদি আপনাকে কোন নেতিবাচক কথা বলে সেই সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, তার কথাটি আপনার মাথায় পুনঃ ববেচনা করে
একদম গুছিয়ে সরাসরি টু দ্য পয়েন্ট কথা বলুন। তবে মনে রাখবে কখনোই উত্তেজিত হবেনা অবশ্যই শান্তভাবে।”
তুমি শান্তভাবে তোমার সামনের মানুষটিকে বলতেই পারো যে তার কথাবার্তা তোমার ভালো লাগেনি। হতেও পারে এরফলে সেই মানুষটা ভবিষ্যতে
তোমার সাথে এইভাবে কথা বলার আগে দুবার ভাববে । পরিস্থিতি আর ঘোলাটে হবে না।
কেউ মনে আঘাত দিলে কি করা উচিত?
উদ্দেশ্য জানতে চান :
কিছু মানুষ আছে যারা নিজের ডিপ্রেশন বা অবসাদ অন্যের উপর উগরে দিতে পছন্দ করে। সেটা হতে পারে তোমার,
কোনো বন্ধু বা তোমার মা বাবা কিংবা তোমার অফিসের বস। তাই তার কথা যদি তোমার পছন্দ না হয় তাহলে তাকে
সরাসরি প্রশ্ন কর কেন তোমাকে সেই কথাটা বললাম তাহলে সে তোমার যতই কাছের ব্যক্তি হোক না কেন, পরেরবার এইরকম
কথা বলার আগে সে দুবার ভাববে।
নিজের উপর কখনো বিশ্বাস হারাবে না:
আর যাই হয়ে যাক নিজের উপর বিশ্বাস কখনো হারাবে না। তোমাকে কেউ যদি কোন নেতিবাচক কথা বলে হতেই পারে সেটা তোমার
খুব আপনার জন কেউ যাকে তুমি খুব ভালোবাসো বা খুব বিশ্বাস কর যার কাছ থেকে তুমি এইরকম কথা কখনো
আশাই করতে পারনি। স্বাভাবিকভাবে সেই রকম কাছের মানুষ তোমাকে কোন খারাপ কথা বললে সেটা তোমার
মনে একটা গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে এমনকি তোমার ভিতরে যে আত্মবিশ্বাসটা ছিল সেটাও ভেঙে যাবে, তাই আর যাই হয়ে যাক ক্ষত ,
যতই গভীর হোক না কেন কক্ষনো নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারাবে না। কারণ আত্মবিশ্বাস একবার হারিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তুমি,
ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে পারবে না এবং ব্যর্থতাকে জয় করে জীবনে সফল হতে পারবে না।
অপমানের যোগ্য জবাব কিভাবে দেবে?
দূরত্ব তৈরি করো:
যেসব মানুষরা তোমাকে সম্মান করে না তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। কথায় আছে আত্মসম্মানবোধ অর্থের থেকেও বড়।
তাই যে মানুষটা তোমার সম্মান নিয়ে খেলা করে তোমার আত্মসম্মানবোধের মর্যাদা দেয় না তার থেকে দূরত্ব তৈরি করাই ভাল।
সামনের মানুষটি আপনার কতটা আপন:
আপনার সামনে যে মানুষটি আপনাকে হঠাৎ করে এরকম অপমান করার কথা বলল একবার চিন্তা করে নিন তার সাথে,
আপনার সম্পর্কটা কেমন। হতে পারে সে আপনার খুব কাছের মানুষ কিন্তু তার এরকম হঠাৎ করে রেগে যাওয়ার অভ্যাস আছে।
পরে হয়তো এই মানুষটা আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে তার এরকম বাজে ব্যবহারের জন্য, তাই তাকে উল্টে কোনো কথা বলার আগে,
সম্পর্কের কথাটা একবার ভেবে নিই আর যদি মনে করেন সম্পর্কটা এত গুরুত্বপূর্ণ নয় তাহলে সরাসরি একটা দেয়াল তুলে দিন।