মধ্যযুগের যে শহর ভারতবর্ষে এখনও বর্তমান-The Medieval city still exists in India

হ্যালো ব্লগার, আজকে তোমাদের নিয়ে যাবো ভারতের এমন একটা শহরে যেটা এখনোও জীবিত আছে প্রায় মধ্যযুগ থেকে।

ভারতের বুকে প্রায় মধ্যযুগ থেকে। ব্যাঙ্গালোর আর হায়দ্রাবাদ শহরের মত hi tech শহরের যুগে এই শহর

এখনও দাড়িয়ে রয়েছে নিজের আভিজাত্য নিয়ে। চলো ঘুরে আসা জাক সেই শহরের অন্তরে।

                ভারতের আদি শহর

ভারতের মধ্য প্রদেশে অবস্থিত ছোট্ট একটা শহর হল ওরছা। ভারতের ভু রাজনৈতিক নানা উত্থান পতন শহরটি পরিচিত।

এই শহরটি এখনও নানা মানুষ এর কাছে পরিচিত নয়। কিন্তু এখনও এই শহরে সুন্দর্য যে কোনো মানুষ কে মুগ্ধ করবে।https://hi.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A4%96%E0%A4%9C%E0%A5%81%E0%A4%B0%E0%A4%BE%E0%A4%B9%E0%A5%8B_%E0%A4%B8%E0%A5%8D%E0%A4%AE%E0%A4%BE%E0%A4%B0%E0%A4%95_%E0%A4%B8%E0%A4%AE%E0%A5%82%E0%A4%B9

এই অট্টালিকা গুলো তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হবে এই সব অট্টালিকা গুলো মধ্যযুগীয় কাল থেকে দ্বাড়িয়ে আছে।

ইংলিশে অট্টালিকার মধ্যে রয়েছে সেই সময়ের সব রাজপ্রাসাদ, দুর্গ উপাসনালয় মন্দির এইসব।

এইসবের মধ্যে কোন স্থাপত্য তুমুল বীরত্বের ইতিহাস বহন করছে আর কোন স্থাপত্য না ভূতের ইতিহাসের সাক্ষী।

খাজুরাহোর ইতিহাস:

খাজুরাহ  এই যায়গা কামোদ্দীপক ভাস্কর্যের জন্য খ্যাত। এখান থেকে পাওয়া ভাস্কর্য এত টাই পরিচিতি লাভ করেছে

যে যা গোটা শহরের সৌন্দর্য কে ছাপিয়ে যায়। ইতিহাস বিদদের মতে এখানে ৮৫টা মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল,

যার মধ্যে এখন মাত্র 22 টি আছে। চন্দেল রাজবংশের শাসনকালে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা ।

তবে ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এইসব মন্দিরের ব্যবহার একদম কমে যায়।

ওরছা দুর্গের একটি অংশ(image source: Google images)

খাজুরাও থেকে কিছু দূরে পশ্চিমে গেলে বেতুয়া নদী কে দেখতে পাওয়া যায়। এই নদী তীর ঘেঁষে  রয়েছে

অরচা দুর্গ। এই দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিলো বুন্দেলা রাজবংশের রাজা রুদ্র প্রতাপ সিং এর আমলে।

বৃহৎ এই দুর্গের ভীতরে রয়েছে রাজা মহল, শীর্ষ মহল, জাহাঙ্গীর মহল, সহ সব সুন্দর জায়গা।

শত্রু দের হাত থেকে রাজ্য কে নিরাপদ করার জন্য তিনি দুর্গের দেওয়াল কে মজবুত ও দুর্ভেদ্য গাঁথুনি দ্বারা মজবুত করেন।https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0/

সমগ্র দুর্গ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য  ভাস্কর্য। এই সব ভাস্কর্যে দেব দেবী, বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্র, মানব জাতি, পশু পাখি,

ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই রাজ প্রাসাদ এর ভীতরে এমন একটা ঘর আছে যার দেওয়াল আয়না দিয়ে এমন,

সুন্দর করে তৈরি করা আছে যে তুমি সেই ঘরে ঢুকলে তোমার কল্পনা য় রাজ নর্তকীদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তোমার চোখে ভেসে উঠবে।

খাজুরাহোর একটি মন্দির
ঐতিহাসিক বিদ্যার মতে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল মধ্যযুগে(image source:Google image)

 

এখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে জাহাঙ্গীর মহল অবস্থিত। সম্রাট জাহাঙ্গীর এখানে যখন ভ্রমন করতে এসেছিলেন

তখন ওনার সৌজন্য বানানো হয়েছিল। তাই তার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছিল এই প্রাসাদ এর।

এই প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল । এই প্রাসাদের পিছনেই রয়েছে রাজকীয় হাম্মাম খানা। এর থেকে একটু দূরেই আছে

মোগল হেরেমের বিখ্যাত নর্তকী পারভিন রায়ের ঘর। মোঘল ঐতিহ্য অনুসরণ করেই বানানো হয়েছিল  পারভিন মহল।

এই ঘরের দরজা সব সময় খোলা থাকতো এবং তার পাশেই ছিল একটা বাগান। পারভিন মহলের দেয়ালে আজও তার প্রতিকৃতি অঙ্কিত আছে।

তাকে সেবা করার জন্য দেখা যায় দু জন নৃত্যরত সেবিকা কে। দুর্গের পাশেই রয়েছে চতুর্ভুজ মন্দির। হিন্দুদের মহান দেবতা বিষ্ণুর নাম অনুসরণ করে

নামকরণ করা হয়েছে এই মন্দিরের। এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল ১৭ শতকে রাজা মধুকর সাহ এর আমলে।

চতুর্ভুজ মন্দির থেকে মাত্র 10 মিনিটের দূরত্বেই আছে , লক্ষী নারায়ন এর মন্দির। যার সাথে ওরচা দুর্গের

বিশেষ  মিল পাওয়া যায়, মন্দির এর ছাদের গঠন প্রণালী খুব আকর্ষণ করে করবে তোমাকে।

কয়েক বছর আগে সেখানে চুরির ঘটনাও ঘটেছিল। ধন সম্পদের দেবী লক্ষী নাম স্মরণ করে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে।

রাজমহল (image source: Google images)

এছাড়া শহরের আশেপাশে অনেক ছোটখাটো ভাস্কর্য ছড়িয়ে রয়েছে শহরের বাড়িগুলো, পুরনো দিনের ঐতিহ্য এবং ভাস্কর্যের একটা নিদর্শন।

শহরের এই অসাধারণ সৌন্দর্য পর্যটকদের সবসময় আকর্ষিত করে তাই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

দেশের সরকার এই জায়গায় স্থাপত্য ভাস্কর্যগুলোকে সংরক্ষণের জন্য বিশেষ দায়িত্ব নিয়েছে।

তবে এই খানে সব থেকে দেখার মত জিনিস হলো ছত্রী। এটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ অঞ্চলের ধাঁচে নির্মিত

এক ধরনের স্মৃতি স্তম্ভ। এগুলো ছাতার মত দেখতে বলেই এর নাম ছত্রী। এই সব ছত্রীর মধ্যে মূলত স্থানীয় রাজাদের সমাহিত করা হয়।

ওড়ছা শহরে এই রকম প্রায় ১৪ ছত্রী আছে নির্মীত হয়েছে ১৪ জন ছত্রী এর জন্য।

মধ্যযুগের যে শহর ভারতবর্ষে এখনও বর্তমান-The Medieval city still exists in India

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to top