সায়েন্স ফিকশন বই পড়তে আমরা সবাই ভালোবাসি কারণ এই বইয়ের বিষয়বস্তু বা সাবজেক্ট,
একটু অন্য মাত্রায় থাকে। কারন এই বই এর বিষয়বস্তু একটু অন্যভাবে পাঠক দের সামনে পরিবেশন করা থাকে। ভালোবাসার পাশাপাশি অনেক সময় এই বইয়ের বিষয়বস্তু বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়।
আমরা খুব ভাগ্যবান যে একজন ভালো পাঠক হিসাবে আমরা এমন সময় আছি যখন কল্পকাহিনী বিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি লেখকরা,
তাই আজকে এই পোস্টে তোমাদের সামনে সেরা তিনটে সাইন্স ফিকশন ফ্যান্টাসি উপন্যাস নিয়ে কথা বলবো।https://www.npr.org/2021/08/18/1027159166/best-books-science-fiction-fantasy-past-decade
সেরা তিনটে সাইন্স ফিকশন উপন্যাস :
আমি তুমি ভাগ্যবান যে আমরা এমন সময় বেঁচে আছি যে সময় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও ফ্যান্টাসি লেখকরা
সাহসী ও উস্কানিমূলক গল্প আমাদের সামনে প্রকাশ করেছে, যেগুলো আমাদের আইডিয়া দেয় আমরা কিভাবে ভবিষ্যৎ,শক্তির প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করবো।
তাই আজকের পোস্টে এমন তিনটে উপন্যাস নিয়ে কথা বলব যারা প্রমাণ করে আমাদের genere fiction কতটা সক্ষম আর শক্তিশালী।
AKWAEKE EMEZI লেখা SOMADINA
ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড এর ফাইনালিস্ট এই লেখক পশ্চিম আফ্রিকার সাংস্কৃতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের জন্য এই কাহিনীটা লিখেছিলেন।https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%b6%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%87-%e0%a6%a4%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8/
সোমাদিনা ও তার অবিচ্ছেদ্য যমজ ভাই জয়াই কে তাদের বয়সের শেষ ব্যক্তি যারা জাদুগরী ক্ষমতার বিকাশ করেছে।

জয়াক ই জাদুগরী ক্ষমতার প্রশংসনীয় কিন্তু অপরদিকে সোমাদিনার ক্ষমতা কেবল মৃত্যু নিয়ে আসে কিন্তু
এইদিকে এক রহস্যময় ব্যক্তি জয়াইকে অপহরণ করে। এরপর সোমাদিনার উপর দায়িত্ব আছে তার চাচাতো ভাই এবং
এক বহিষ্কৃত সহকর্মী সাহায্যে জয়াইকা কে খুঁজে বের করা। সুতরাং এই উপন্যাসের কাহিনী যে বেশ টানটান সেটা বোঝা গেল।
এই উপন্যাস নিয়ে আমার মতামত?
এই বই এর মূল উদ্দেশ্য যদি শুধু জয়াই কে উদ্ধার করাই যদি সোমাদিনার উদ্যেশ্য হতো, তাহলে সেটা বই এর প্রথম কুরি পাতার,
মধ্যেই অনুসন্ধান করা যেতো, বা কাহিনী টাকে ওই পাতার মধ্যেই শেষ করা যেতো।
কিন্তু বইতে সেটা করা হয়নি। বরং সে জায়গায় বইয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কাহিনী শেষ হওয়ার পর প্রধান বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে।
কিন্তু এরকম কেন করা হলো? আমার মতে এটা অনেকটাই লেখকের ইচ্ছা প্রসূত। এবং এর পিছনে প্রধান কারণ হলো
লেখক বইয়ের প্রথম এক তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে সোমাদিনার সম্প্রদায় যার মধ্যে সোমাদিনার সম্প্রদায়, তার মা বাবা, এমন কি একটা রোমাঞ্চকর রোড ট্রিপ এ যাওয়ার আগে,
সোমাদিনা কে এড়িয়ে চলে যাওয়া, তাকে স্বাস্তি দেওয়া এই সব পড়েই আমরা নষ্ট করি। তাই ছন্দ আর গতির দিক থেকে
এই বইয়ের শেষ দুই তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা আলাদা একটা বইয়ের মত মনে হয়।
তবু এই উপন্যাসের শুরুর অংশটি বাকি অংশকে তাড়া করে বেড়ায়, এবং আমরা দেখতে পাই যে , সোমাদিনার ভিতরের কলঙ্ক, কিভাবে পিছনে ফেলে রাখে যখন সে জয়াই কে উদ্ধার করার জন্য তার সমস্ত শক্তি ব্যবহার করতে শেখে।
কিন্তু মূল গল্পটা সোমাদিনার অপরাধ বোধ ত্যাগ করে দয়ালু হয়ে ওঠার চারপাশেই ঘুরতে থাকে। তাই এটাকে আমার বয়স বৃদ্ধির সেরা গল্প বলে মনে হয়েছে।
AWAKENED by A.E.Osworth
এই উপন্যাস মূলত ট্রান্স ডাইনিদের একটা দলকে নিয়ে যারা এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে লড়াই করে যা প্রতিটি ফোন ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সক্ষম হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এর ভিতর বাস করে এবং
এটি এমন একটা রোমাঞ্চকর জিনিস যেটা বিজ্ঞান, কল্প কাহিনী এবং কল্পনা উভয়ের সীমাকেই অতিক্রম করে।

কিন্তু “Awakend”ডাইনিদের মধ্যে সম্পর্কের দিকেও ঝুঁকে পড়ে। কিভাবে তারা তাদের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা কায়েম করার জন্য ট্রমা ও আত্মনাশকতা কাটিয়ে ওঠে তা খুঁজে বের করে। কিন্তু
এর আগের উপন্যাস”সোমাদিনা” তে দেখা যায় যে ফ্যান্টাসি উপন্যাসের মূল চাবিকাঠি হল এমন একটা জাদু ব্যবস্থা যেটাকে অসাধারণ মনে হয়, এবং
যে জাদু উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো থেকে অসাধারণ কিছু জিনিস বের করে নিয়ে আসে। কিন্তু আবার”awakend” এর জাদুতে এক ধরনের রূপ ধারণ করা হয়, এর জন্য চরিত্র গুলোকে আধ্যাত্মিকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এবং
বৃহত্তর মন্ত্র প্রয়োগের জন্য একটি দলগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় , তখন ডাইনিরা একে অপরের স্মৃতি দেখতে পারে।
লেখক Osworth মূলত আড্ডাবাজ ও সর্বজ্ঞ শৈলীতে লেখেন, যেটা বর্ণনামূলক শৈলীর কারণ প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পাঠকদের মনে অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
sinister AI যাকে আমরা hex নামেও জানি ভয়ংকর থেকেও ভয়ংকরতম। কিন্তু এই অপ্রতিরোধ্য উপন্যাসের উত্তেজনার লুকিয়ে আছে,
এর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত চরিত্র ও ঘনিষ্ঠতার সাথে তাদের বিভিন্ন সংগ্রাম থেকে উদ্ভূত হয়ে।
NOTES FROM A REGICIDE BY ISAAC FELLMAN
দত্তক পিতা ইটোইন মারা যাবার হাজার বছর পরে গ্রিফন নামে একজন সাংবাদিক কারাগারে বসে লেখা তার বাবার স্মৃতিকথাটি আবিষ্কার করে।
ইটোইন তার নগর রাজ্য শাসনকারী এক নায়ক কে হত্যা করার জন্য তাকে কার আওয়াজ দেয়া হয়েছিল।

এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে কারাগারে পাওয়া পালিত বাবার সেই স্মৃতিকথার বই। বইতে লেখক গ্রিফইন বর্ণনা করেছেন, কিভাবে
অনেক বয়স্ক ইটইন এবং তার স্ত্রী জাফরে তাকে দত্তক নিয়েছিল, সেই সময় যখন তিনি একজন নির্যাতনকারী পিতার হাত থেকে পালিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিলেন, কিন্তু
আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল তুমি আশা করবে দূর ভবিষ্যতের উপর ভিত্তি করে এটা একটা বিজ্ঞান গল্পকাহিনীর বই। যেটা অদ্ভুত প্রযুক্তি এবং নতুন চিন্তাধারা তোমার সামনে তুলে ধরবে।
কিন্তু ফিল্ম ম্যানের ভবিষ্যৎ পরিবেশের কাজ হল পৃথিবীকে প্রাচীন ও অস্পষ্ট করে তোলা। লেখকের কথায় আমরা যে উন্নত প্রযুক্তির সম্মুখীন হই তা অতীতের ভারকে জোরদার করে,
আলিগার্করা ঝুলন্ত অ্যানিমেশনে ঘুমিয়ে থাকে ও কেবল বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জেগে থাকে। যেখানে মানুষ একদিকে পুরনো মেশিন চালায় এবং
চলাচলের জন্য শ্যাওলাযুক্ত খাল গুলো নৌকার মাধ্যমে ব্যবহার করে। গ্রিফন এবং ইটোইন উভয়ই অবিরাম আত্মদর্শী এবং ভঙ্গুর আনুষ্ঠানিকতার একটা পাতলা স্তর আবেগের গভীর জলাশয় কে ঢেকে রাখে।
ইটোইন এবং জাফরে দুজনেই আর্টিস্ট , বা শিল্পী। কিন্তু তারা তাদের এইশিল্প বইয়ের শিরোনামের রাজহত্যার চেয়ে রাজনৈতিকভাবে বেশি অনুরণিত বোধ করায়।
এবং এই হৃদয়বিদারক বইয়ের শেষের দিকে ইটোইন প্রতিফলিত করেন যে একজন শিল্পী হিসেবে তিনি সর্বোপরি প্রচারক, এবং তিনি বলেন”we predict the future but unfortunately only because we create it”