আমরা প্রত্যেকেই মিথ্যাবাদী।মিথ্যে কথা আমরা একটু আধটু সবাই বলি, বা বলতে পারো বলতে বাধ্য হই। হতে পারে সেটা অফিস থেকে ছুটি নেওয়া,
বা বড় কোন ভুল থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। মিথ্যে কথা আমরা জীবনে টুকটাক বলেই থাকি। আবার অনেক সময় যখন আমাদের
কেউ মিথ্যে কথা বলে সেটা জেনে বুঝেও চুপ করে থাকি, তাই আজকে তোমাদের শেখাবো কি ভাবে তোমরা তোমাদের
সামনে থাকা মানুষটার মিথ্যে কথা এক নিমেষে ধরতে পারবে। দেখে নেওয়া যাক সেই টোটকা গুলো, কি কি
মিথ্যুক ও মিথ্যেবাদী কে ধরার উপায়?
অস্বাভাবিক ব্যবহার: অস্বাভাবিক ব্যবহার হচ্ছে মিথ্যাবাদীদের চেনার খুব সহজ উপায়। স্বাভাবিকভাবে মিথ্যে কথা
বলার পর মানুষ একটু অস্বাভাবিক আচরণই করে। সবসময় উদ্দেশ্য থাকে যাতে কোনো ভাবে মিথ্যে কথাটা ধরা পরে।
https://selfknowledgepro.com/wp-admin/post.php?post=2249&action=edit
তাই তোমার সামনে মানুষটা কোন কথা বলার পরে যদি একটু অস্বাভাবিক আচরণ করে তোমার চোখে চোখ রেখে কথা,
বলতে ভয় পায় বা একটু বেশি ছটফট করে এদিক ওদিক তাকায় তাহলে বুঝে নিও সে নিশ্চিতভাবে মিথ্যে কথা বলছে
অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিবরণ: মিথ্যে কথা গুছিয়ে বলা এক কথায় অসম্ভব। তাই অধিকাংশ মানুষ যখন মিথ্যে কথা বলে,
তখন গুছিয়ে কথা বলতে পারে না অধিকাংশই কথা বলতে গিয়ে পেচিয়ে ফেলে। তাদের কথায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ দেখা যায়।
গলার স্বরের পরিবর্তন
গলার স্বরের পরিবর্তন একটা বড় পরিবর্তন, বিষেশজ্ঞ দের কথায় মানুষ যখন সত্যি কথা বলে তখন সে অনেক
আত্মবিশ্বাস এর সাথে বলে ফলে তাঁর গলার স্বর এক রকম হয়, আর যখন মিথ্যে কথা বলে তখন তার গলার স্বর এক
রকম হয়। তাই তোমার সামনের মানুষটির গলার স্বর যদি তোমার পরিচিত হয় তাহলে তুমি খুব সহজে তাঁর
মিথ্যে কথা ধরতে পারবে। তাই তোমাকে মিথ্যে কথা বলে সে কিছুতেই কিন্তু পারবে না, তাই সে খুব সাবধান থাকবে তোমার সামনে।
অস্পষ্ট উত্তর
মিথ্যে কথা বলার সময় মানুষ সম্ভবত অস্পষ্ট ও উল্টোপাল্টা উত্তর দেয়। সোজাসুজি কথা বলতে তারা ভয় পায়।
কারন সত্যি কথাটা যেন কোনো ভাবে তাঁদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে না যায়।
অতিরিক্ত কথা বলা
আবার কিছু মিথ্যাবাদী আছে যারা অতিরিক্ত কথা বলে। অতিরিক্ত কথার মধ্যে দিয়ে আসল কথাটা এড়িয়ে যায়,
অথবা বলতে পারো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাভাবিকের তুলনায় তারা ওই সময় একটু বেশি বকবক করে।
সময় বিলম্ব করা যারা মিথ্যে কথা বলে তারা সম্ভবত একটু দেরিতে বা বুঝে শুনে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে।
কারন তাদের ভয় থাকে তাঁদের অসাবধানতার কারণে পাছে তাঁদের অজান্তে সত্যি কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে না যায়|
বেসলাইন আচরণ
তুমি যদি ওই ব্যক্তি কে চেনো বা তাঁর আসে পাশে ঘোরাফেরা তাঁর চাল চলন নিয়ে যদি তোমায় অভিজ্ঞতা তাহলে, দেখবে
তার চলন বলন দেখলেই বুঝবে সে মিথ্যে কথা বলছে, কিছুএকটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তোমার থেকে।
দ্বন্দ্ব
তাঁদের কথা ও আচরণের মধ্যে একটা অসঙ্গতি দেখতে পাবেন। আসলে মিথ্যেবাদীরা সব সময় একটা ইন্সিকিউরিটি
তে ভোগে। তাদের ধরা না পড়ে যায় এই চিন্তায় তাঁরা সব সময়ে থাকে।