আমার ব্লগ এ তোমাদের সবাই কে স্বাগত। আজকে তোমাদের এমন একটা বই এর সাথে পরিচয় করাব
যা মানুষের জীবন সম্পর্কে তোমার ধারণা বদলে দেবে। মানুষ এর জীবনের এমন অনেক দিক আজকে তোমার
সামনে তুলে ধরব। চলো তাহলে সেই বই এর পাতাতে যাত্রা শুরু করা যাক,

দেখো তুমি যদি সাধারণ একদম মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মে থাকো তাহলে তো এই বই তোমার জীবনে একবার
হলেও পড়া উচিত। কারণ এই বই পড়লে তুমি জানতে পারবে তোমার জীবনে সামনে যেমন কঠিন পরিস্থিতি
আসুক না কেনো তুমি তোমার জীবনের মিনিং ধরে রাখতে পারবে।
নিজের মনোভাব অর্থাৎ মেন্টালিটি ঠিক করো:
শব্দটা ছোট হলেও এর অর্থ কিন্তু অনেক বড়। পৃথিবীর সফলতম মানুষগুলো তাদের অনেক বড় বড় ব্যর্থতার,
সামনেও নিজের মনোভাব বা মেন্টালিটি বা মানসিকতা যেটাই বলোনা কেন সেটা ঠিক রেখেছিল।
স্টারবাকস যে তৈরি করেছিল সে ২৩০ বারেরও বেশি রিজেক্ট হয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন ক্যারিয়ারের
শুরুর দিকে আকাশ বাণীতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে শুধুমাত্র গলার ভয়েসের জন্য রিজেক্ট হয়েছিল ।

হ্যারি পটারের এর লেখিকা j k rouling বহুবার রিজেক্ট হয়েছে।https://www.goodreads.com/book/show/4069.Man_s_Search_for_Meaning
যে ল্যাম্বরগিনির মত স্পোর্টস কার ব্র্যান্ড তৈরি করেছিল সেও ফেরারির কাছ থেকে অপমানিত হয়ে বিতাড়িত
হয়েছিল। এই প্রত্যেকটা ঘটনাতেই সফল মানুষগুলো তাদের খারাপ সময়তেও নিজের মানসিকতা টা ঠিক
রেখেছিল।
নিজের উদ্দেশ্যে খোজ :
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা উদ্দেশ্য থাকা উচিত। যেমন তুমি জীবনে কি করতে চাও, কত টাকা রোজগার করতে চাও,
কিরকম লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করতে চাও, নিজেকে পাঁচ বছর পর কোন জায়গায় দেখতে চাও
এই সবকিছুই তোমার নিজের জীবনের উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে|

তুমি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না এটা মেনে নাও:
তুমি মানুষ ভগবান না, তাই সবকিছু তোমার একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%87/
হতে পারে সেটা তোমার প্রেমিকার মুড বা তোমার বসের মেজাজ, কিংবা হতে পারে সেটা রাস্তার জ্যাম,
কিংবা তোমার নিজের ভাগ্য এর কোন কিছুই তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

তাই যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা সেটা নিয়ে ভেবে মাথা খারাপ করো না।
নিজের প্রতি নিজে কৃতজ্ঞ হও :
নিজেকে থ্যাংকস দিতে শেখো, কারণ তুমি যদি ভেবে থাকো তোমার ভালো কাজের জন্য সব সময় তোমাকে
অন্য কেউ থ্যাংকস দেবে তাহলে তুমি খুব ভুল ভাবছ, যেমন তোমার অফিস এর বস, তোমার শিক্ষক, বা
হয়তো অন্য কেউ। সেটা কখনো হবে না। অপর দিকের যে কোনো মানুষ এর কাছ থেকে কিছু আশা করা
তোমাকে জীবনে দুঃখ ছাড়া কিছু দেবে না। তাই লেখক এর কথায় মাঝে মাঝে নিজের পিঠ নিজে চাপড়া ও।

হাসুন: শব্দটা খুব ছোট, কিন্তু মনে রাখবে হাসি তোমাকে অনেক স্ট্রেস থেকে রক্ষা করবে।
তোমার মন ভালো থাকবে, সারাদিন তুমি কাজ করার একটা সুন্দর এনার্জি পাবে
তোমার নিজস্ব একটা অর্থ খোজ: নিজস্ব অর্থ বলতে এখানে লেখক বুঝিয়েছেন imner meaning।
Inner meaning কোন মানুষের ভিতরে চিন্তা তার ভিতরের অনুভূ তি , মানুষের ভিতরের গভীরতম
উদ্দেশ্যকে বোঝানো হয়। যেমন ধরো তোমার জীবনে বা তোমার সারাদিন আচরণের পিছনে তোমার
ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে অনুভূতি থাকতে পারে,। এটা মূলত মানুষের মনের ভিতর থাকা সত্য, মূল্যবোধ, বিশ্বাস
সম্পর্কে মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝায়। এই inner meaning তোমার আচরণ সিদ্ধান্ত ও জীবনে র
পথচলা কে নির্দেশ করে। এবং এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য, জীবনযাত্রার
গভীর ভাবনা, ও তার পরিচয় ও অস্তিত্বের প্রশ্ন।
সাফল্য একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
লেখক এর কথায় সাফল্যকে আমাদের পার্শ্ব প্রতিকার রূপে দেখা উচিত। লেখকদের কথা আমরা
সাফল্যকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে দেখি। এর ফলে কি হয় সাফল্য একবার চলে এলে আমরা অলস হয়ে যাই,
এবং এবং জীবনের কমফোর্ট zone এ চলে যাই। আমাদের মন ও শরীর দুটোর জন্যই খারাপ।

তাই যে কোন কাজে সাফল্য পেলে সেটাকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখেই সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।