হ্যালো ব্লগার, আমরা জানি বর্তমান সময়ে জীবন নাশক অসুখগুলোর মধ্যে ক্যান্সার একটা। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে এই অসুখ।
ক্যান্সার চিকিৎসায় এক অভিনব উদ্যোগ
তবে এই ক্যান্সার চিকিৎসায় অভিনব এক সাফল্য এনেছে টাটার হাসপাতাল এর চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা । এমনিতেই গোটা ভারতে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল
নাম ছড়িয়ে আছে ক্যান্সার গবেষণায়। এবার এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এ ডক্টররা আরও একটা পলক নিজেদের মুকুটে নিয়ে নিল।https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গবেষণার পর এই ইনস্টিটিউশন এর ডাক্তাররা এমন একটা ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমিয়ে দেবে।
শুধু তাই নয় ক্যান্সারের সময় কেমো চলার ফলে রোগীর শরীরে যে পরবর্তী সময়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দেয়, সেগুলো অনেকটা হ্রাস পাবে এই ওষুধে।
সাংবাদিকদের সামনে ইন্টারভিউ দেয়ার সময় ওই গবেষণা দলের একজন স্বনামধন্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলেন”আমরা প্রথমে ইঁদুরের মধ্যে ক্যান্সার কোষ ঢোকানো হয়েছিল, ওই ক্যান্সার কোষ ইঁদুরের শরীরের মধ্যে ঢুকে প্রথমে একটা টিউমার তৈরি করে ।
এরপর অন্যান্য ক্যান্সার রোগীদের মতই ইঁদুরগুলোর শরীরে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি ও অস্ত্র প্রচার করে দেখা যায়, ক্যান্সার কোষ গুলো মরে যাওয়ার
সাথে সাথে, ক্রোমাটিন কোনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেয়, এবং এই ক্রোমাটিন কণা রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য জায়গায় ঢুকে যায়, ফলে সেই সব জায়গা
থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন মরে যাওয়া ক্যান্সার সেল থেকে নির্গত হওয়া ক্রোমার্টিন
আবার একটা সুস্থ ক্যান্সার সেল তৈরি করতে পারে। কিছু cfChps হেলদি ক্রোমোজোম এর সাথে যুক্ত হয়ে আবার নতুন টিউমার তৈরি করে।https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7/
এই সমস্যা সমাধানের জন্য টাটা ক্যান্সার রিসার্চ এর ডাক্তাররা, প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট (Pro -oxidant tablet) রেসভেরাট্রল ও কপার এর সাথে ইদুর এর শরীরে পুষ করেছেন।
ডক্টর বাডভে (Badve) এর কথায় R+cu অক্সিজেন রেডিক্যালস তৈরি করে, যা ক্রোমাটিন পার্টিকেল কে নষ্ট করে দেয়।
এই R+cu কে অন্যান্য ওষুধের মতই মুখ দিয়ে খাওয়ানো হয়। এটা পেটের (stomach )মধ্যে অক্সিজেন রেডিক্যালস তৈরি করে , যেটা আমাদের গোটা শরীরের
রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রবেশ করে । অক্সিজেন রেডিক্যালস গুলি cfchps গুলোকে ধ্বংস করে , এবং মেটাসটিসিস প্রতিরোধ করে, অর্থাৎ ক্যান্সার সেল কে
এক পার্ট থেকে আরেক পার্ট এ যেতে বাধা সৃষ্টি করে। কর্মরত বিজ্ঞানী দের কোথায় এই R+Cu ক্যান্সারের কেমোথেরাপীর কষ্ট কে অনেক কমিয়ে দেয়।
তাই বিজ্ঞানীরা এটাকে “magic of R+cu ” বলেছেন।
তাদের কথায় R+Cu কেমোথেরাপির কষ্টকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এছাড়াও আবার নতুন করে ক্যান্সার কোর সৃষ্টি হওয়ার ঘটনাকেও প্রায়
সফলভাবে ৩০% কমিয়ে এনেছে। এছাড়াও এই ওষুধ প্যানক্রিয়াস, ফুসফুস এবং ওরাল, ক্যান্সারকেও সফলভাবে আটকাতে সক্ষম হয়েছে।
ডাক্তাররা প্রায় এক যুগ ধরে এই বিশেষ ট্যাবলেটদের ওপর কাজ করছে এখন শুধু ফুট সেফটি ডিপার্টমেন্টের লাইসেন্স পেয়ে গেলেই এই ট্যাবলেট বাজারে চলে আসবে।
যদিও সেটা আসতে এই বছরের জুন জুলাই মাস হয়ে যাবে। এর ফলে ক্যান্সার চিকিৎসায় আর একটা নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।