জাপানি পদ্ধতিতে নিজের অলসতা দূর করুণ
হ্যালো ব্লগার অলসতা আমাদের প্রত্যেক এর মধ্যেই আছে, শুধু এই অলসতার জন্য আমরা আমাদের অনেক কাজ সময়ে শেষ করে উঠতে পারিনা,
তাই আজকে তোমাদের সাথে এমন কিছু জাপানিজ নিয়ম বা টোটকা শেয়ার করব যাতে তোমরা বা আমরা আমাদের সময়ের কাজটা
ঠিক সময় মতই সেরে ফেলতে পারি। দেখে নেয়া যাক সেরা ৮ টা টোটকা
১. কাইজেন-(নিরবিচ্ছিন্ন উন্নতি)- কাইজেনের দর্শন কে জড়িয়ে ধরুন। যেটা সময় এর সাথে সাথে ক্রম বর্ধমান পরিবর্তন করার উপর জোর দেয়,
সবকিছু একসাথে করার পরিবর্তে কাজগুলোকে ছোট ছোট করে করার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করুন ।
ছোট ছোট সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আপনি জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারেন। আপনার লক্ষ্য গুলোর দিকে এভাবে এগিয়ে যেতে পারেন।
2. পোমোডোরো টেকনিক – এই পদ্ধতিতে কাজ কে সংক্ষিপ্ত করে ফোকাস করার উপড় জোর দেয়।
(যেমন ধরুন দুটো কাজের মধ্যে 25 মিনিট ব্যাবধান)। এই টেকনিক আপনাকে আপনার উৎপাদন শিলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই কাজ করার টেকনিক আপনার কাজের সময় কাঠামো ও জবাব দিহিতা প্রদান করে, আপনাকে অলসতার সাহায্য লড়তে সাহায্য করে।https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
3. কাণবান পদ্ধতি – তোমার কাজ গুলো কল্পনা করতে এবং তোমার কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে কানবান পদ্ধতি ব্যাবহার করো ।
তোমার কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে একটা বোর্ড করে তাতে সুন্দর কলাম তৈরী কর,(যেমন কখন কোন কাজ করবে,কোন কাজ কতটা এগিয়েছে,
এই পদ্ধতি তোমার কাজগুলোকে সংঘটিত করে, অগ্রগতিতে কাজ কে সীমিত করে, তুমি তোমার অলসতা এবং গরিমসি কমিয়ে উৎপাদনশীলতা ও প্রেরণা বাড়াতে পারো ।
4. সেরি (seiri)-এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তুমি তোমার কাজকে খুব ছোট করে সংগঠিত করতে পারো,
এই পদ্ধতি একটি বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরিতে বাধা দিয়ে তোমার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে
তোমার কর্মক্ষেত্রকে সুন্দর করতে এবং ঝামেলাহীন করতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর উপর জোড় দাও,
এবং চারি পাশে একটা সুন্দর সংঘটিত পরিবেশ তৈরি করো , যা তোমার ফোকাস ও একাগ্রতা বাড়াতে তোমার কাজে সাহায্য করবে ।
5. সেইটন (seiton)- একবার তুমি তোমার কাজকে declutter করার পর অবশিষ্ট জিনিস গুলো কে যৌক্তিক এবং দক্ষ পদ্ধতিতে সংগঠিত করতে এই পদ্ধতি নিতে পারো।
সব সময় ব্যবহৃত জিনিসগুলোর জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে সেখানে রাখ।
যাতে সে গুল সহজে তোমার হাতের নাগালে থাকে , ফলে তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস খুঁজতে সময় নষ্ট করতে হবে না,
এর ফলস্বরূপ তোমার কাজে সময় নষ্ট কম হবে ওদক্ষতা বাড়বে।
6. মতাইনাই (MOTTAINAI)-এই ধারণা তোমাকে তোমার কাজে সব ধরনের খারাপ দিকগুলো বর্জন করার উপর জোর দেয়।
সময় যে একটা মূল্যবান সম্পদ সেটাকে স্বীকার করে অণুউৎপাদনশীল এবং বাজে কাজের পিছনে সময় নষ্ট করা বন্ধ কর।
সময়কে কিভাবে ব্যবহার করবে যদি সেই দিক থেকে তুমি সচেতনাও তাহলে তুমি তোমার অলসতা কে কাটিয়ে উঠতে পারো।
এবং প্রতিদিনের সময়কে খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারো।
৭.শোকুনিন (Shokunin) -(pride in workman ship) আপনার কারিগরি , কর্মবোধ কে গর্ববোধ করে তুলুন ,সুন্দর করে তুলুন।
আপনি যা কিছু করছেন তাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার চেষ্টা করুণ। সেটা যে কোনো ধরণের কাজ হতে পারে, কোন জাগতিক কাজ, কোন সামাজিক কাজ,https://selfknowledgepro.com/%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%ac-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%81%e0%a6%9c-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be/
বা যে কোনো উল্লেখ্যযোগ্য প্রকল্প হোক না কেনো উৎসর্গের সাথে এবং ভীষণ মনোযোগ সহকারে আপনার সেরা কাজটা করার প্রতিশ্রুতি দাও ।
এর ফলে তুমি তোমার কাজ নিয়ে গর্ব করতে পারো , এবং নিজের অলসতা কাটিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারো।
8. গামান (Gaman)-(perceverence)সর্বশেষ পর্যায় হচ্ছে গামান। যার মধ্যে আপনি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অধ্যবসায়, ও স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করবেন।
মনে রাখবে অলসতা কাটিয়ে উঠতে যখন অনুপ্রেরণার অভাব হয় তখন অধ্যাবসায় ,শৃঙ্খলা প্রয়োজন।
তাই নিজের উপর সন্দেহ বা self dout না রেখে যখন জীবনে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তখন অধ্যাবসায় গড়ে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।
নিজের লোককে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে আল্লাহ ছেড়ে অলসতা কাটিয়ে সফলতা অর্জন কর।