হ্যালো ব্লগার, গরমের সময় আমরা হালকা খাবার খেতে একটু বেশি পছন্দ করি।
বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে আমরা যাই খাই না কেন গরমকালে আমরা ভাজা জাতীয় খাবার থেকে ,
নিজেদের একটু দূরেই রাখি। তাই অনেকেরই এই অতিরিক্ত গরমে দই খুব প্রিয় খাবার।
আর সেটা যদি টক দই হয় তাহলে তো তার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দই আমরা সরাসরি খাই বা
বিভিন্ন খাবারের মিশিয়ে খাই , আমরা অনেকেই দই আর ইয়োগার্ট এর মধ্যে পার্থক্য জানিনা।https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%87
দুটোর স্বাদ কিন্তু একই রকম দেখতে একই, তাহলে এই দুটোর মধ্যে আদতে পার্থক্য কি,
দই আর ইয়োগার্ট মধ্যে পার্থক্য?
প্রথমে বলে রাখি দুটোই তৈরি হয় দুধ থেকে। ল্যাকটিক অ্যাসিড, এর ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিশ্রন করিয়ে তৈরি হয় দই।
আর অন্য দিকে ইয়োগার্ট দুটি ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটো ব্যাসিলাস বুলগারিকাস ও চিপকক্কা স্ট্রেপকক্কাস ফার্মসিলাস এর,
জীবন্ত স্ট্রেন ব্যাবহার করে দুধকে ফার্মান্টেড করে তৈরি করা হয়, ব্যাকটেরিয়া দুধে উপস্থিত চিনি সাথে বিক্রিয়া করে।
বিক্রিয়াটি ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা দুধের প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে , দই তৈরি করে।
দুটো জিনিসের মধ্যে সামঞ্জস্য ও গঠন:
প্রথম ও প্রধান পার্থক্য হল দই ওই ইয়োগার্ট ফার্মানটেশনের ফলে যে ব্যাকটেরিয়াল স্ট্রেন উৎপাদন হয় তার থেকে আসে,
দই সাধারণত একটি ঢিলেঢালা ধরণের হয়, এর মধ্যে একটা হালকা গন্ধ হয়। অন্যদিকে ইয়োগার্ট অনেক
বেশী ফারম্যান্টেশন এর মধ্যে যায়, যার ফলে ঘন কাস্টেডের মত সামঞ্জস্য এবং একটি স্বতন্ত্র স্বাদ হয়।
ক্যালোরি পরিপ্রেক্ষিতে দই ও ইউগাট দুটোই মুলত একই রকম। উভয়েই সাধারণত প্রতি 100 গ্রাম এ ৬০ থেকে ৭০ ক্যালোরি থাকে।
দুটোই প্রোটিন ক্যালসিয়াম, প্রোবায়োটিক এর দামী উৎস। তবে তাদের ফারম্যাটেশন প্রক্রিয়ার কারণে
পুষ্টির ধরন গুলো আলাদা। ইয়োগাট মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোজ কে ভেঙ্গে দেয়।
দুধের মধ্যে যে সাধারণ চিনি থাকে তা সক্রিয় থাকে দই এর মধ্যে। যেসব ব্যক্তিদের শরীরে ল্যাকটোজ কম থাকে তাদের শরীরে ইয়োগার্ট খুব ভালো হজমের কাজ করে।
ইয়োগার্ট এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ইয়োগাটের মধ্যে থাকা ,
চর্বি , প্রোটিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, a,d b12, প্রোটিন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। যা হজমে সহায়তা করে।
দই হাড় কে মজবুত করেন, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। এছাড়াও ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হলো দই।
দই তে থাকা প্রোটিন সোডিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম , ভিটামিন এ ডি ও বি টুয়েলভ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা হজমে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
এটা অস্টিওপোরোসিস , অস্থির ক্ষয় রোধ করে। গবেষণা করে দেখা গেছে, প্লেন দইতে ইয়োগার্টের থেকেও বেশি ল্যাকটোজ থাকে,
আবার অন্য দিক থেকে টাটকা দুধে যতটা ল্যাকটোজ থাকে , তার থেকে কম পরিমাণ ল্যাকটোজ প্লেন টক দইতে থাকে।
প্রবায়োটি উপাদান : প্রোবায়টিক বলতে মূলত জীবন্ত অনুজীব গুলোকে বোঝায়, এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘা হলে,
এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যে অনেক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। দই এবং ইয়োগার্ট উভয় এর মধ্যেই প্রোবায়োটিক রয়েছে।
কিন্তু যখন ঘনত্বের কথা আসে ইয়োগার্ট দই এর থেকে এগিয়ে থাকে। কারণ ইয়োগারর্ট তৈরীর সময় বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন ব্যাবহার করা হয়।
এই প্রোবায়োটিক গুলো পাচনতন্ত্রের উন্নতি করতে ও অনাক্রমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে
দইতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো মুখের ব্যাকটেরিয়ার সাথে বিক্রিয়া করে আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
গহ্বর ও মাড়ির রোগ কোমায়, এছাড়া মুখে দুর্গন্ধ এর মত অসুখকেও দূরে রাখে।