হ্যালো ব্লগার , আমদের এই ব্যাস্ত জীবনে আমরা যতোই ভালো থাকার চেষ্টা বা হ্যাপি থাকার চেস্টা করিনা কেনো,
কোন না কোন নেগেটিভ নিউজ অর্থাৎ বাজে খবর আমাদের মনকে আবার নেগেটিভ এর দিকে নিয়ে যায়,
বর্তমান সময়ে সব সময় হ্যাপি থাকা যে কোন মানুষের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু এটা ঠিক আমি যদি সবসময় হ্যাপি বা সুখী না থাকি তাহলে প্রতিদিনের কাজে,
মনোযোগী হতে পারব না, বা কাজটা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে পারবো না।
তাই আজকে তোমাদের সাথে মাত্র ৯ মিনিটের পাঁচটা অভ্যাস শেয়ার করব যেটা তোমার জীবনকে সুখী করে তুলবে।
গ্র্যাটিটিউড জার্নালিং– নিজেকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও পাঁচটা মিনিট সময় দিয়ে একটা কাগজে লিখুন যে আপনি কোন কোন জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ।
সেটা হতে পারে আপনার চাকরি আপনার ব্যক্তিগত জীবন যা খুশি।https://en.m.wikipedia.org/wiki/Human_behavior
এই ছোট্ট একটা অভ্যাস আপনাকে এবং আপনার ফোকাস কে পজিটিভ দিকে নিয়ে যাবে এবং আপনার
জীবনে ওভারঅল একটা খুশি বজায় থাকবে।
Mindful Breathing -(মনণশীল শ্বাস প্রশ্বাস)-দিনে অন্তত পাঁচ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে মননশীলতার ধ্যান অনুশীলন করুন,
ডেইলি এক্সারসাইজ -(daily exercise)- এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করা প্রতিদিন এর রুটিন এর মধ্যে রাখুন।
সেটা হতে পারে জিম এ গিয়ে এক্সারসাইজ করা, অথবা শুধুমাত্র মর্নিং ওয়াক করা।
ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করলে, আমাদের শরীর থেকে এন্ডরফিন নির্গত হয়, যা মেজাজ ভালো রাখে ও শরীর সতেজ রাখে।
কোনো ভালো সেবা মূলক কাজ – ACT OF KINDNESS-
নুন্যতম পাঁচ মিনিট,বা তার কম সময়ের জন্য কিছু না কিছু সেবা মূলক কাজ করুণ।
হতে পারে আপনি সেটা আপনার সব অফিসের সহকর্মীদের প্রশংসা করছেন, বা কোন বৃদ্ধ মানুষকে সাহায্য করছেন।
অন্যকে সাহায্য করার সুখ বা পরিপূর্ণতা তোমার মনের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রযুক্তিগত জিনিস থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা- অর্থাৎ যাকে ইংরেজিতে ডিসকানেকশন ফ্রম টেকনোলজি,
বর্তমান সময়ে আপনাদের জীবন টেকনোলজি নির্ভর। প্রতিদিন কোন না কোন কাজে আমরা ল্যাপটপ বা ফোনের মধ্যে ঢুকে থাকি।
তাই প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় চেষ্টা কর ল্যাপটপ বা ফোন থেকে নিজেকে দূরে রেখে খেলাধুলা এর মত এক্টিভিটি মূলক কাজ করা।
ভালো বই পড়তে পারেন বা আপনার বাড়ির বাইরে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন।
Vizualization -ভিজুয়ালাইজেশন নিজের লক্ষ্য অর্থাৎ স্বপ্ন কল্পনা করতে পাঁচ মিনিট ব্যায় করো। তোমার কাঙ্খিতhttps://selfknowledgepro.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%ac/
ভবিষ্যত কল্পনা তোমাকে আশাবাদী করবে, তোমাকে সুখী জীবনের দিকে পরিচালিত করবে।
আত্ম প্রতিফলন- Self Reflection– প্রতিদিন আয়নার সামনে অন্তত পাঁচ মিনিট দ্বারিয়ে।
কিছু অনুপ্রেরণা মূলক কথা বলুন। তোমার নিজের আবেগ , অধ্যায়ন , অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করতে , বৃদ্ধি
উন্নতির জন্য সময় ব্যয় করুণ।
Laughing (হাসা)- সময় পেলে কোনো মজার হাসির ভিডিও দেখুন, বা মজার বই পড়ুন। হাসা শরীর এর
জন্য খুব ভাল , হাসার অনুভূতি ভালো হরমোন নিঃসরণ করে। যেটা তাৎক্ষণিভাবে মেজাজ ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
Connection With loved once – প্রিয় মানুষটার সাথে সম্পর্ক রাখুন যাকে মনের সব কথা বলা যায়।
প্রত্যেক মানুষ এর জীবনে একজন প্রিয় মানুষ থাকে। যাকে নির্দ্বিধায় সব কথা বলা যায়। সেই মানুষটার সাথে
দিনে অন্তত পাঁচ মিনিট হলেও কথা বলুন, তাতে আপনার মন হালকা হবে। ডিপ্রেশন কম হবে।