হ্যালো ব্লগার পৃথীবির বৃদ্ধতম মানুষ এর কথা বললে আপনার কাছে প্রথমে যে ছবি টা ভেসে উঠবে এমন,
একজন মানুষ যে সব রকমের নেশা, অ্যালকোহল, এবং তেল জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে।যার শরীরে না জানি কতো অসুখ কত না ওষুধ খেতে হয় তাকে সারা দিনে।
তাহলে চলুন আজকে এমন একজন মানুষ এর সাথে আলাপ করিয়ে দেব লাইফ স্টাইল ছিল এর একে বারেই উল্টো ।
এনার নাম Janne calmet | এনি ফ্রান্সের অধিবাসী। উনি জীবিত ছিলেন 125 বয়স পর্যন্ত।
এই ভদ্রমহিলার খাওয়া-দাওয়ার রুটিন শুনলে আমার আপনার মত তরুণ যুবক যুবতী ও লজ্জায় লাল হয়ে যাবে
Janne calment মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকে সিগারেট খাওয়া শুরু করেন। এবং 107 বছর বয়স
পর্যন্ত প্রতিদিন একের অধিক সিগারেট খেতেন। এক সপ্তাহে ১ কেজি করে চকলেট খেতেন।
ওয়াইন পান করতেন সপ্তাহে বহুবার। ৭৫ বছর বয়সে সাইকেল চালানো শেখেন। এবং ১০৭ বছর বয়স পর্যন্ত চালান।
তিনি তার জীবনে আইফেল টাওয়ার কে তৈরি হতে দেখেছেন।১১২ বছর বয়সে তাকে নিয়ে একটা সিনেমা,
তৈরি হয় এবং একশো কুড়ি বছর বয়সে তাকে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি তৈরি হয়।
বেশি দিন বাঁচার কারণ?
সত্যি কথা বলতে, এই ভদ্র মহিলা যে ধরণের ফুড হ্যাবিট এর মধ্যে দিয়ে ছিলেন তাতে ওনার, বেশী দিন
বা এতদিন বেঁচে থাকা এক কথায় অসম্ভব। কারণ এই রকম লাইফস্টাইল আমার তোমার মত আর পাঁচটা সাধারণ,
মানুষ মেনে চললে, তাতে হয়ত নানা রকম রোগ ভোগ যেমন সুগার, ব্লাড প্রেসার, ব্রংকাইটিস এর মত প্রবলেম
দেখা যাবে তাহলে এই ভদ্রমহিলা এতদিন সুস্থ থাকলেন কিভাবে। দেখো তোমাকে প্রথমেই বলে রাখি
এই গুলো আদতেই কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ঘটনা। তাহলে তোমাদের এই রকম উদাহরণ আরো কয়েকটা উদাহরণদি,
আমাদের দেশ ভারতের ভারানাসিতে 190 বছরের বৃদ্ধা মহিলা দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র বালি খেয়ে বেঁচে আছেন।
এছাড়াও উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তি ইট, বালি, সিমেন্ট খেয়ে শেষ 10 বছর ধরে বেঁচে আছেন, এমন কি এই
ব্যক্তির যখনই কিছু খেতে ইচ্ছে করে
এই সব ভাবতেই পারবনা, কারণ প্রকৃতি কিন্তু সবাই কে সমান ভাবে তৈরি করে না, অনেক সময় তোমরা শুনে
অনেক মানুষ কে দেখতে পাবে যে, যারা সারা জীবনে ধূমপান না করলেও তাদের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।