হ্যালো ব্লগার আজকে তোমাদের সাথে এমন একটা অসুখ নিয়ে কথা বলব যে অসুখটার সাথে হয়তো আমরা
পরিচিত কিন্তু অসুখটা নিয়ে আমরা অতটা সচেতন নই, কিন্তু এই আমাদের অসচেতনতার জন্যই অনেক মানুষ
অকালে তাদের প্রাণ দিয়ে দেন, আবার অনেক মানুষের সামান্য সচেতনতা ওদের জন্য তারা মৃত্যুমুখ থেকে
ফিরে এসে আবার সুন্দর জীবন যাপন করছেন, তোমরা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ আমি কোন
অসুখের কথা বলছি, যে অসুখটার নাম ক্যান্সার।
চলো আজকে আলোচনা করা যাক এই অসুখ নিয়ে। প্রথমে বলে রাখি ক্যানসার মানেই কিন্তু মৃত্যু নয়,
৭০ দশকের পর থেকে ক্যানসার এ মৃত্যুর হার প্রায় অনেক কমে গেছে, বেঁচে থাকার হার বেড়েছে ৭০ শতাংশ।
অর্থাৎ 100 জন ক্যানসার আক্রান্ত রুগীর মধ্যে প্রায় ৭০ জন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছেন।
শরীরে ক্যান্সার হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?
আমেরিকা যুক্ত রাজ্যের এক সংস্থার মতে আমেরিকার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই এমন সমস্যায় ,
ভুগেছেন যে যেটা তাদের এই মারন অসুখের অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের একজন গবেষক ক্যাটরিনা হুইটেকার বলেন মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন,https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%93%e0%a6%b7/
করা আমাদের উদ্দেশ্য না,আমাদের উদ্দেশ্য মানুষ কে সচেতন করা, অনেক মানুষই আছে তারা অনেক ছোট ছোট,
লক্ষণ দেখা দিলেও তারা সেগুলো এড়িয়ে যান বা ভাবেন এইরকম ছোট বিষয় নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোন মানেই হয় না।
ক্যান্সার রোগ কি কি কারণে হতে পারে?
১.জ্বর বা Fever: দেখো জ্বর আসা কিন্তু খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, আর জ্বর আসলেই টুকটাক ওষুধ খেয়ে তার ডাক্তারি,
আমরা নিজেরা বাড়িতেই করে ফেলি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপনার যদি ঘন ঘন জ্বর আসে,
তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যারা ক্যান্সারে ভুগেছে তারা কোন না কোন ,
সময় অতিরিক্ত জ্বরে ভুগেছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা যখন ক্যান্সার রোগী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে,
তখন সেই রোগী বেশি আক্রান্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে, যেমন ,লিউকোমিয়া লিম্ফোমা ইত্যাদি।
২.ক্লান্তি : কাজ করতে করতে তো আমার সবাই ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি বিশ্রাম নেয়ার পরেও ক্লান্তি না কাটে, তাহলে সেটা ক্যান্সার রোগের লক্ষণ হিসাবে,
দেখা যেতে পারে, অতিরিক্ত ক্লান্তি বাড়ার সাথে সাথে এটা ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে,
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বিশেষ করে লিউকোমিয়ার ক্যান্সারের প্রথম স্টেজে এরকম ক্লান্তি ভাব দেখা যায় রোগীর শরীরে।
৩.ত্বকে পরিবর্তন: স্কিন ক্যান্সার ছাড়াও এমন কিছু, উপসর্গ আছে যাতে ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে,
যেমন ত্বক কালো হয়ে যাওয়া যাকে আমরা হাইপার পিকমেন্টেশন বলি, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া
অতিরিক্ত চুলকানির ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাত্রা অতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, ইত্যাদি
৪.ক্ষতস্থান ভালো না হওয়া: আপনার শরীরের কোথাও যদি কোন ছোট ঘা বা ফোড়া হয় সেখান থেকেও,
ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতস্থান থেকে যেমন ডায়াবেটিক
অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ঠিক তেমনি সেখান থেকে ক্যান্সারের মতো মারন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তোমার কোন স্থানে যদি ঘা হয় সেটা যদি চার সপ্তাহের মধ্যে না শুকিয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে ডক্টরের সাথে কনসাল্ট করবে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ওভারিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা যায়।
৫.রক্তপাত: যেকোনো ধরনের রক্তপাত ক্যান্সার রোগের একটা অন্যতম কারণ, যেমন ধরো কারোর যদি কাশির সাথে রক্তপাত হয়,
তাহলে তার ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কোন নারীর যদি জরায়ুতে রক্তপাতের ফলে,
সারভিক্যাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও ইউরিন এর সাথে রক্ত পড়লে কিডনি তে ক্যান্সার
মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের বৃন্ত থেকে রক্তপাত হলে সেটা স্তন ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৬.ঢোক গিলতে অসুবিধা: কোন মানুষের যদি ঢোক গিলতে অসুবিধা হয় বিশেষ করে খাওয়ার সময় তাহলে,
সেটা esophegial cancer এর কারণ হতে পারে। এমনকি পাকস্থলীর ক্যান্সার ও হতে পারে।
৭.হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া:
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের অনেক সময় দেখা যায় ক্যান্সার ধরা পড়ার আগেই হঠাৎ করে ওজন
কোন কারণ ছাড়াই কমতে শুরু করে, কেউ যদি হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া নিজের স্বাভাবিক ওজন হারাতে শুরু করে,
তাহলে এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যা হীন ওজন হারানো। এই সময় সেই ব্যক্তির উচিত তাড়াতাড়ি কোন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।
৮.স্মল ও মুত্র এর কার্যকরী পরিবর্তন:
দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা পায়খানার সাথে রক্ত পড়া যেমন আপনার কোলন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে,
তেমনি প্রস্রাবে সাথে রক্ত পড়া বা খুব ব্যথা হওয়া প্রস্তুত ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।https://en.wikipedia.org/wiki/Cancer
৯.অতিরিক্ত কাশি বা গলার স্বরে পরিবর্তন:
একটানা কাশি হলে বা কাশির সাথে রক্ত বের হলে অনেক সময় ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে,
তাছাড়া পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে এই অসুখ,
১০.শরীরের কোন জায়গায় শক্ত হয়ে যাওয়া
বিশেষ ধরনের ক্যান্সার আছে যেগুলো ত্বকের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়। যেমন বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার,
অন্ডকোষ, ও শরীরে অন্যান্য জায়গায় হঠাৎ করে চামড়া শক্ত হয়ে যায় সেটা ক্যান্সারের অগ্রিম লক্ষণ হতে পারে।