হ্যালো ব্লগার, আজকে তোমাদের সাথে আরো একটা সেনসিটিভ, জিনিস নিয়ে আলোচনা করব, যেটা নিয়ে
আগেও তোমাদের সাথে কথা বলেছি, কিন্তু আজকে কথা বলব একটু অন্য ভাবে,
বিষয়টা হল মাস্টারবেশন, অর্থাৎ বাংলায় হস্তমৈথুন। জানলে অবাক হবেন, মানুষ এর মাস্টারবেশন বা
কোনো প্রাণী থেকে। প্রাণীদের মস্তিষ্কের বিকাশ যতো হয়েছে, তত তাদের যৌনাঙ্গ গুলো ফলপ্রসূ হয়েছে ,
হস্তমৈথুন নিয়ে কথা বললেও, এটা মানুষ এর দ্বারা আবিষ্কৃত কোনো অভ্যাস না, এটা এসেছে চার পায়ের
হস্তমৈথুন করে এরকম নয়টি প্রাণী?
হাতি (eliphant): এশীয় পুরুষ হাতিগুলোর লম্বা ও মোটা যৌনাঙ্গ রয়েছে। তার এই যৌনাঙ্গ তাকে কোন মহিলা,হাতির সাথে নেভিগেট করতে ০/ করে, সেই
পুরুষ হাতি, হস্তমৈথুন করে। হাতিরা নিজেদেরকে প্রহার করতে সব চেয়ে বেশি আগ্রহী হয় যখন তারা মুস্টের
একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Masturbation
Primate (প্রাইমেট): বানর প্রজাতির এই বিশেষ প্রাণীদের আমরা আমাদের পূর্বপুরুষ বলেই জানি। এদের হাত আছে,
তাই এই কর্ম করা অস্বাভাবিক কিছু না, বানর থেকে লেমুর পর্যন্ত প্রায় ৪০ রকমের প্রাণী পুরুষ প্রজাতির মধ্যে এই,
গুণ পরিলক্ষিত হয়, এটাকে প্রাইমেট দের যৌন আচরণের একটা স্বাভাবিক দিক।
প্রাইমেট প্রজাতীর মেয়ে বানরদের মধ্যে এর প্রবণতা দেখা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে মেয়ে বানর গুল অরঙ্গুটান,
এবং ক্যাপুচিন বানর উভয়কেই অস্থায়ী ডিলডো হিসেবে লাঠি ও অন্যান্য উদ্ভিদের অংশ ব্যাবহার করতে দেখা গেছে।
Walrus (সিন্ধু ঘটক):
এদের কীর্তি তোমাকে আরো অবাক করবে, মেল ওয়ালরুস তাদের বড় লিঙ্গের সামনের অংশ খাদের উপর ঘষে।
কখনো কখনো তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও এই কাজটা করে কারণ তাদের লিঙ্গ এত বড় হয়।
Rat (ইদুর)
প্রজজনের মৃত্যুতে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই যৌনাঙ্গে লাঠি ঘষে | পুরুষ কেপগ্রাউন্ড কাঠবিড়ালি ,
বছরের যে কোন সময় হস্তমৈথুন করে। তবে প্রধানত মিলনের পরে প্রভাবশালী পুরুষরা হস্তমৈথুন করে,
যেটা মহিলা কাঠবিড়ালির একদম পছন্দ করেনা। কাঠবিড়ালিতে এই বৈশিষ্ট্য প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন জীববিজ্ঞানী জেন ওয়াটারম্যান।
তার কথায় যেহেতু মিলনের সময় পুরুষ এবং স্ত্রী একাধিক সঙ্গী থাকে তাই সেক্সের পরে শরীরে ঝাঁকুনি দিলে,
যৌন সংক্রমণ ছড়াতে পারে,সেই সময় পুরুষ সঙ্গে বাছাই করতে অনেক অসুবিধা হয়।
বাদুড় – জানলে অবাক হবে একটা মেইল ভ্যাম্পপায়ার, মেল ফ্রুটস ব্যাটস একে অপরের জিভ দিয়ে হস্তমৈথুন করে,
যেটা সত্যি একটা বিস্ময়কর ব্যাপার। তাদের এই প্রক্রিয়া এই প্রজাতির সমস্ত প্রাণী দের মধ্যে একদমই আলাদা
পেঙ্গুইন -মিষ্টি দেখতে এই প্রাণীটাও এরকম প্রাকৃতিক কর্মের সাথে যুক্ত। প্রজনন ঋতুতে একটি পুরুষ পেঙ্গুইন ,b
একটি মহিলা পেঙ্গুইন কে, খুঁজে পেতে অক্ষম হলে বিশেষ এক ধরনের পাথরে ঘষে তারা এই কর্মটি করে থাকে।
তবে প্রকৃতির নিয়ম মাথায় যেহেতু বাদুর উল্টো করে ঝোলে তাই তাদের এরকম হস্তমৈথুন দেখতে কিছুটা অদ্ভুত লাগে।
পেঙ্গুইনদের এই যৌন অভ্যাসের কথা তিনি গ্রিক ভাষায় এমন করে লিখে গেছেন একমাত্র বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর কেউ জানতে না পারে।
তাদের এই অদ্ভুত কর্মটি প্রথম লক্ষ্য করেন G murray Levick । যিনি 1911 সালের আন্টার্টিকা অভিযানে গেছিলেন।
তার এই অপ্রকাশিত বর্ণনা কিছুদিন আগেই নতুন করে আবার ডিসকভার করা হয়েছে।
পুরো ব্যাপারটাই তার কাছে এতটাই মর্মান্তিক লেগেছিল যে, এই প্রজাতির উপর তার যে মূল মনোগ্রাফ ছিল সেটাই তিনি বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।
কচ্ছপ: যৌনতার দিক থেকে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ছেলে কচ্ছপ হস্তমৈথুন শুরু করে দেয়। এদের এই ক্রিয়া করার কৌশল আর অদ্ভুত।
পুরুষ কচ্ছপরা তাদের বড় যৌনাঙ্গ কে বড় কোন শক্ত জিনিসে ঘষে , এই কর্মটি করে থাকে। এর শব্দ মাঝে মাঝে খুব আনন্দকরও হয়।
তবে আরো অদ্ভুত ঘটনা হলো তারা মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে বড় কোন শীলাকে মহিলা কর্তব্য ভেবে সেখানেই তাদের যৌনাঙ্গকে ঘষতে থাকে।
কেটাসিয়েনাস: এদের হাত না থাকলেও পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই হস্তমৈথুন করতে পারে।
সমুদ্রের তলায় ,তারা যদি কোন একুরিয়ামের মধ্যে বন্দী থাকে তার দেয়ালে, যে কোন শক্ত কিছুতে পেলেই হল,
এটা তাদের অনেকটা খেলার মতো তাদের কাছে। তবে এই প্রজাতির পুরুষেরা তাদের যৌনাঙ্গের চারিদিকে জীবন্ত ইল বেষ্টন করে রাখে ।
এছাড়া মাস্টারবেশন দেখা গেছে bittolenose, স্পিনার ডলফিন, তিমি মাছ, নদীতে বসবাস করা ডলফিনের মধ্যে।
টিকটিকি– পুরুষ টিকটিকি এরমধ্যে দ্বিগুণ ফ্যালাস থাকে। এরা মিলন এর সময় পাশ বদল করে।
তাদের যৌনাঙ্গকে হেমিপিন বলে। টিকটিকি প্রজাতির অনেক প্রাণীই তাদের যৌনাঙ্গকে মাটিতে বসে হস্তমৈথুন করে,
এমনকি এটা তারা তাদের প্রজনন ঋতুতে প্রতিদিন করে থাকে। তাদের এইরকম আচরণের পিছনে,
গবেষণা করে দেখা গেছে যে হেমিপেনিস এর ত্বকের উপর স্তরটি তুলে ফেলার ফলে পুরুষ টিকটিকি মিলনের সময়,
যেকোনো রকমের ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীকে অপসারণ করতে পারে, এবং ত্বকের উজ্জ্বল্য ধরে রাখতে পারে।
সামুদ্রিক ইগুয়ানাদের জন্য হস্তমৈথুন প্রক্রিয়া অনেক ভালো , সরাসরি প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
সমস্ত ছোট বড় ইগুয়ানারা এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।