হ্যালো ব্লগার, আজকে এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলবো যেটা নিয়ে ১৯৯০ সালের কথা বলাই ,
বেশ লজ্জা জনক ছিলো, কারণ এইটা নিয়ে মানুষ আগে কথা বলতেই ভয় পেতো, অনেকের কাছে এটা বেস,
লজ্জাজনক ব্যাপার ছিল। বিষয় টা সমকামিতা। সমকামিতা আমি কথা বলতে আমরা এখনো অনেক সময় লজ্জাবোধ করি।https://en.wikipedia.org/wiki/Homosexuality
ব্রাউস বাগেমিহল প্রথম আলোকপাত করেছিলেন এই বিষয়ে, তাঁর কথায় এটা সমাজে আগে একটা taboo ছিল,
তার কথায় এল. জি. বি টি মানুষরা (LGBT-lesbine,GAY, Bisexual,transgendar) সমাজে মানুষ বলে গণ্য হত না,
তাদের কে জানোয়ার এর সাথে তুলনা করা হত। নিজের লেখা বই “বায়োলজিক্যাল এক্সুবারেন্স” বই তে
প্রাণীদের সমকামিতা নিয়ে তিনটে চ্যাপ্টার লিখেছেন, চ্যাপ্টারগুলো যথাক্রমে”200 years at looking at homo sexual wildlife”, দ্বিতীয় চ্যাপ্টারটা হল “explaining animal Homo sexuality” ,
এবং তৃতীয় চ্যাপ্টারটি হল,”not for breeding only”| নরওয়ে এর oslo univercity একবার “against nature” অর্থাৎ যার বাংলা করলে দাঁড়ায় “প্রকৃতি বিরুদ্ধ”,
প্রাণি জগতের সমকামিতার উপর ভিত্তি করে এই প্রদর্শনি প্রদর্শিত হয়েছিল।
এই প্রদর্শনীর উপদেষ্টা পিটার বোকম্যান এর কথায় সমকামিতা যৌন সঙ্গম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আর এইটা নিয়ে এখন সময় এসেছে সম্পূর্ণভাবে রিচার্জ করার।https://selfknowledgepro.com/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7/
তার কথায় এখন বিজ্ঞানীদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী যার তার সাথে সঙ্গম
করতে পারে কিনা এবং এর জন্য নৈতিকতার মূল নীতিগুলো প্রয়োজন হয় কিনা।
পশু ও প্রাণীদের মধ্যেও সমকামীতা দেখা যায় কেন?
সমকামিতা মানুষ ছাড়া দেখা যায় মুলত স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিদের মধ্যে। এর মধ্যে বিশেষ করে প্রাইমেটস ও
যে সমস্ত সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে তাদের মধ্যে বিশেষ করে এই গুণ পরিলক্ষিত হয়।
বিভিন্ন প্রাণীর যৌন আচরণ বিভিন্ন রকম হয়, আবার একই প্রজাতীর মধ্যে বিভিন্ন প্রাণীর যৌন আচরণ বিভিন্ন রকম হয়,
যেমন কুকুরের যৌনাচারণ এক রকম আবার বিড়ালের যৌন আচরণ আর একরকম।
বিজ্ঞানী বেগেমিহলের কথায়, আমাদের ধারণা একই প্রজাতির প্রাণী নিজে লিঙ্গের মধ্যেই সঙ্গম করবে,
এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ১৯৯৯ সালের হিসাব অনুসারে পাঁচশোর চেয়েও বেশি প্রাইমেটস,gutworms এর মধ্যে
সমকামিতা দেখা গেছে। আমাদের সমাজে ধর্মপ্রাণ মানুষরা মনে করে, প্রাণিজগতের সমকামিতা কখনই
মনুষ্য সমাজের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনা। কারণ কোন পশুর থেকে নৈতিকতা শেখার কোন অর্থই হয় না।
অন্যদিকে আমাদের সমাজের সমকামী ব্যক্তিরা মনে করে এটা খুব এক প্রাকৃতিক একটা বিষয়, তাই
জীবের মধ্যে সমকামিতা টাকা অস্বাভাবিক কিছু না। যেকোনো প্রাণী বা জীবজন্তুর আচরণ দেখে বোঝাই যায়,
জীবজন্তুর এই আচরণকে বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে।
যে পশু ও প্রাণীদের মধ্যে সমকামিতা দেখা যায় ?
সম্প্রতি বৃটেনের গবেষণায় দেখা গেছে যে জিরাফের মধ্যে অধিকাংশ জিরাফই সমকামী হয়।
তবে নামিবিয়ার জিরাফ সংগঠন ফাউন্ডেশনের অধিকার তার কথায় এই তথ্য সম্পূর্ণভাবে ঠিক না।
অনেক সময় একটি জিরাফ অন্য একটি জিরাফকে নকল করে, যেটা তাদের একটা আধিপত্যের আচরণ।
এই আচরণ কুকুরের মধ্যেও দেখা যায়। এছাড়াও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ডলফিন এর মধ্যেও সমকামিতা দেখা যায়।
এছাড়া সমকামিতা খুঁজে পাওয়া যায় বানর, হাঁস, সিংহ ভেড়া এইসব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ও।
এমন কোন প্রাণী আছে যে কঠোরভাবে সমকামী?
লেসবিয়ান লিজার্ড , প্রকৃতপক্ষে এদের বলা হয় নিউ মেক্সিকো হুইপটেল। এরা মূলত মহিলা প্রজাতির টিকটিকি,
যারা পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় প্রজনন করে। তারা নিজেদের মধ্যে একই প্রজাতির অন্যান্য মহিলাদের সাথে সঙ্গমে অংশগ্রহণ করে।