হ্যালো ব্লগার, আজকে কথা বলব পৃথিবীর সফলতম মানুষগুলোর সকালের দৈনিক কিছু অভ্যাস নিয়ে, সফলতম মানুষগুলো জীবন নিয়ে
আমাদের জানা চেষ্টা সবসময় থাকে কিন্তু খুব পৃথিবীর খুব কম শতাংশ মানুষই সাফল্যের চূড়ায় থাকতে পারে তাহলে তাই আজকে
সেই মানুষগুলো দৈনিক কিছু রুটিন নিয়ে যেগুলো মেনে চললে হয়তো আপনিও তাদের লিস্টে আসতে পারেন,
সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা – চেষ্টা করুন সকাল ছটা সাড়ে ছটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়ার, ঘুম থেকে উঠেই চেষ্টা করুন প্রণাম করার,
সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন চেক করা থেকে দূরে থাকুন।
তবে ফোনে মর্নিং affermation, কোন ঠাকুরের মন্ত্র বা গান শুনতে পারেন। এতে আপনার মন পরিষ্কার থাকবে। অবশ্যই একটু আধটু এক্সারসাইজ করবেন। শরীর হালকা থাকবে।
সারাদিন কি কি কাজ করবেন সেটা ঠিক করে নিন।
জল পান করা :পরিমিত জল পান করুন তাই বলে অত্যাধিক জল পান করবেন না, পরিমিত জলপান করলে সেটা আপনার হজমের শক্তিকে বাড়িয়ে দেবে।
শুধু তাই নয় এটা আপনাকে অনেক ধরণের পেটের অসুখ যেমন গ্যাস্ট্রিক আলসার, যে কোনো ধরণের অবস্ট্রাকসান থেকে দুরে রাখবে,
আপনার সকালের স্টুল ক্লিয়ার করতে বিশেস ভূমিকা পালন করবে।
বায়াম/এক্সারসাইজ করা – এটা ঘুম থেকে উঠে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ মনে রাখবেন আপনি
যখন সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠেন তখন আপনার শরীর সম্পূর্ণ নতুন এনার্জিতে পরিপূর্ণ থাকে,
তাই সেটা ব্যায়াম করার সঠিক সময় সকালে উঠে আপনি যদি জিমে নাও যান তাও বাড়িতে হালকে এক্সারসাইজ করুন তাহলে সারাদিন,
আপনার শরীর ঝরঝরে থাকবে কাজ করার এনার্জি পাবে এমন কি সকালবেলা এক্সারসাই আপনাকে মানসিক অবসাদ থেকেও দূরে রাখবে।
হেলদি /স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট- কথায় বলে মর্নিং শোজ দ্য ডে, তাই বলে রাখি আপনি সকালে কি খাচ্ছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
বিল গেটস টম কুক মার্ক জুকারবার্গ এর মত পৃথিবী সফলতম ব্যক্তিরা একটা সুন্দর ব্রেকফাস্ট দিয়ে তাদের দিন শুরু করে।
তাই চেষ্টা করবেন সবার সকাল বেলা ফ্রাইড খাবারের বদলে স্বাস্থ্যকর কোন খাবার খাওয়া যেমন বাদাম দুধ কনফ্লেক্স ইত্যাদি।
5. ধ্যান করা বা মেডিটেশন করা– এটা সকালবেলা উঠে অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পৃথিবীর সফলতম মানুষগুলো এটা করে থাকে এমনকি সেই মানুষগুলো সম্পর্কে জানার পর আমিও
এটা প্রতিদিনই করে থাকি মনে রাখবেন সকালবেলা যখন আপনি ঘুম থেকে ওঠেন তখন আপনার মন খুব পরিষ্কার থাকে রাত্রিবেলা একটা গভীর ঘুমের পর
আপনার মাথা থেকে অনেক দুশ্চিন্ত দূর হয়ে যায় তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আগে কিছুক্ষণ ধ্যান করে নিন। ধ্যান করলে সারাদিন আপনার মন ভালো থাকবে,
নেগেটিভ চিন্তাভাবনা মন থেকে দূর হয়ে যাবে, আপনি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
6. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন -সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন আপনি সারাদিন কি কি কাজ করতে চান, দরকার হলে সেটা কাগজে লিখে ফেলুন। কোন সময়ের মধ্যে আপনি কোন কাজটা
করতে চান দুপুরে দুটোর মধ্যে কোন কাজটা করতে চান বিকেলবেলা এমনকি রাত্রে এবং চেষ্টা করুন সেই মুহূর্ত কাজ করার যতটা
সম্ভব হয় ওই দিনের লক্ষ্যটা পূরণ করার চেষ্টা করুন।
7. বই পড়া –বই পড়া শুধু সকাল বেলার জন্য না সবসময় একটি ভালবাসবে সকালবেলা বই পড়লে
আপনার মাইন্ড ফ্রেশ থাকবেএবং সারাদিন আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজের কনসেনট্রেট করতে পারবে।
সেটা আপনি যে কোন বই পড়তে পারেন হতে পারে সেটা কোন স্পিরিচুয়াল বই হতে পারে সেটা কোন
ঠাকুরের বই হতে পারে সেটা কোন ভালো মোটিভেশনাল বই। তাই চেষ্টা করুন সকালবেলা উঠে তিন-চার পাতা বই পড়ার।
8. হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইল চেক করা থেকে বিরত থাকুন–সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমাদের অনেকেরই অভ্যাস থাকে বিশেষ ,
করে যারা চাকরি করি হোয়াটসঅ্যাপে কি মেসেজ এল আর কে কি গুরুত্বপূর্ণ মেইল পাঠানো সেটা চেক করা ।
দেখুন চাকরি করতে গেলে বা ব্যবসা করতে গেলে বা নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গেলে এগুলো
খুবই দরকার তবে একদম ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ফোন চেক করবেন না কিছুক্ষণ পরে অর্থাৎ
ধ্যান করা, জল খাওয়া, এক্সারসাইজ করা একটু প্রাণায়াম করা এইসব কাজগুলো করে তারপরে আপনি ফোন বা ইমেইল চেক করতেই পারেন
9. সারাদিনের জন্য একটা পজিটিভ টোন সেট করুন–দেখুন সকালবেলা আপনি কিভাবে দিনটা শুরু করবেন সেটা আপনার সারাদিনের কাজের উপর একটা প্রভাব ফেলবে ,
তাই সকাল বেলা উঠে ,আপনি চেষ্টা করুন ভালো কোন ঠাকুরের গান শোনার বা ভালো কোন মন্ত্র শোনার।
মর্নিং আফার্মেশন শুনতে পারেন টমি রবিনসন এবং ব্রেন ফ্রাঙ্কলিন এর মত নেতারা এই নিয়ম ফলো করেছে।