আচ্ছা ধরো তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি একটা ছেলে হয়ে একটা মেয়ের কি দেখে প্রেমে পড়বে। প্রথমে তোমার মাথায় আসবে মেয়েটার রূপ, যেটা বোধহয়
সব ছেলেকেই আকর্ষণ করে, তারপরে আসবে মেয়েটার গুণ বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আবার মেয়েদের দিক দিয়ে দেখতে গেলে হয়তো আসবে ছেলেটার অর্থনৈতিক অবস্থা,
সামাজিক স্ট্যাটাস, এই সব। তবে তোমাদের বলে রাখি বর্তমান সময়ে কিন্তু এই ধ্যান ধারণা পাল্টেছে। বর্তমান সময়ে প্রেম এর এখন কার প্রজন্ম শুধুমাত্র বাহ্যিক সুন্দর্য কে
ছাড়িয়ে বুদ্ধিমত্তা কেও প্রাধান্য দিতে জানে।এই প্রজন্মের অনেকের আছে তাই শারীরিক সৌন্দর্যের ছাপিয়ে অপরদিকের মানুষটার বুদ্ধিমত্তা এই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এই ধরনের মানুষ কেই বলে স্যাপিওসেক্স্যুয়াল।
স্যাপিওসেক্স্যুয়াল মানুষরা কি ভাবে প্রেমে পড়ে?
এরা কিন্তু তোমার আমার মত কোন মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখেই প্রেমে পড়ে না। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে এরা সামনের মানুষটার বাহ্যিক সৌন্দর্য টাকে ছাপিয়ে তার বুদ্ধিমত্তার
প্রেমে পড়ে। শুধু বুদ্ধিমত্তা না তারা কম্প্যাটিবিলিটাও ভালো করে পরীক্ষা করে নেয়।https://selfknowledgepro.com/wp-admin/post.php?post=2281&action=edit
স্যাপিওসেক্স্যুয়াল মানুষদের ব্যক্তিত্ব কেমন হয়?
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ গবেষণা করে দেখেছেন এই ব্যক্তিত্বের মানুষরা সম্পর্ক তৈরি করার জন্য অপরদিকের মানুষটার সহানুভবতা,
এবং তার নিজের সাথে সেই মানুষটার কম্প্যাটিবিলিটি ও তারপর বুদ্ধিবৃত্তিকেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ হল সঙ্গীর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব
ওর সঙ্গীর সঙ্গে সহজে মিশতে পারে এমন গুণ। যাতে সেই মানুষটা কখনো অবসাদ একাকীত্ব বোধ না করে।
https://simple.wikipedia.org/wiki/Sapiosexuality
স্যাপিওসেক্সুয়াল মানুষদের চরিত্র কেমন হয়?
ইপন সামসুল এক নৃ বিজ্ঞানী এর কথায় এই চরিত্রের মানুষরা সহজে কখন প্রেমে পড়ে নাশারীরিক সৌন্দর্য এর প্রতি তারা আকর্ষিত হয়না বলেই এমন টা হয়। কারণ
এই সব মানুষরা আগে বন্ধুত্ব করতে বেশি পছন্দ করে। অপরদিকের মানুষ টার সাথে মানসিক ও বৌদ্ধিক মিল হলে তবেই তারা প্রেমের কথা চিন্তা করে দেখে।
প্লেটনিক প্রেম কাকে বলে?
প্রধানত দুই ধরনের স্যাপিওসেক্সচুয়াল মানুষ দেখা যায়। এক ধরনের স্যাপিওসেক্সুয়াল মানুষরা মনে করে বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের সাথেই শারীরিক সম্পর্কে আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
অপর এক ধরনের কাছে, শারীরিক সম্পর্কটা মুখ্য নয় বরং অপর দিকের মানুষটার সাথে তারা খেলাধুলা বিজ্ঞান রাজনীতি এইসব নিয়েই আলোচনা করতে বেশি ভালোবাস।
এখানে যৌন চাহিদা বা আকাঙ্খা, কোনোটাই গুরুত্বপূর্ণ না। এই ধরনের প্রেম কেই প্লেটনিক প্রেম বলে। স্যাপিও দের কথায় শারীরিক সৌন্দর্য সময় এর সাথে সাথে
ফ্যাকাশে হয়ে আসে। সৌন্দর্য সারাজীবন স্থায়ী না। কিন্তু ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা এই গুলো সারা জীবন থাকবে।তাই তারা মনে করে তাদের প্রেম টাই শ্রেষ্ঠ।
কারণ তাদের কথায় বুদ্ধিমত্তাই শেষ কথা। এই স্যাপিওসেক্সচুয়াল রা সবসময় একটু ইন্ট্রোভাট বা অন্তরমুখী স্বভাবের হয়। তারা প্রেমে পরে তাদের মেন্টর, কিংবা
বস বা উচ্চপদস্থ কর্মচারী, বা কোন পুরনো বন্ধুর। অনেক সময় তাই তারা বিশেষ করে যখন কোন পুরনো বন্ধু বা অফিস কলিগের প্রেমে পড়ে সেটা প্রকাশ করতে পারেনা।
তাই অনেক সময় স্যাপিওসেক্সচুয়াল মানুষদের প্রেম অনেক সময় বিবাহ বহির্ভূত হয় আবার ওয়ান সাইডেড ভালোবাসা ও হয়। তাই এই ধরনের মানুষদের কাউকে পছন্দ লাগা,
কারোর প্রেমে পড়া দুটোই তৈরি হতে একটু সময় লাগে। উল্টো দিকের মানুষটার সাথে মেধা, ও বুদ্ধি ও মনের মিল হলে তবেই ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
তাই যখন তাদের কাউকে সত্যিই ভালো লাগে, সেটা সত্যিকারের হয় তার মধ্যে কোন খুদ থাকে না।